ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়াদের মধ্যে পার্থক্য

আমরা কেউ কেউ হয়তোবা হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ ( থার্ডজেন্ডা্র ) এবং ট্রান্সজেন্ডার (রুপান্তর লিঙ্গ) কে একই মনে করি। আসলে তা নয়, আসুন জেনে নেয়া যাক হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার সম্পর্কে

ট্রান্সজেন্ডার কী:

অর্থ: “ট্রান্সজেন্ডার” শব্দটি হলো “স্থানান্তরক” বা “পরিবর্তনকারী”।

“ট্রান্সজেন্ডার” ( trans gander) এর বাংলা অর্থ রূপান্তরিত লিঙ্গ, ট্রান্সজন্ডার একটি জটিল শব্দ যার অর্থ অনেক কিছু হতে পারে ।এটি একজন ব্যক্তির জন্মের সময় দেওয়া লিঙ্গ অথবা শারীরিক লিঙ্গ এবং মানসিক লিঙ্গের মধ্যে বৈষম্য থাকলে তাদের স্থানান্তর করতে পারে।

একজন ট্রান্স জেন্ডারপুরুষ এমন একজন ব্যক্তি যিনি জন্মগত ভাবে নারী ছিলেন কিন্তু তার মানসিক বোধ জন্মগত লিঙ্গের বিপরীত ছিলো বিধায় তিনি নিজেকে সার্জারি অথবা বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হন যাকে ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ বলা হয়।

তদ্রুপ একজন “ট্রান্সজেন্ডার” নারী যিনি জন্মগত ভাবে পুরুষ ছিলেন কিন্তু মানসিক বোধ জন্মগত লিঙ্গের বিপরীত হওয়ার কারণে সার্জারি অথবা বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে নিজেকে পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত করেছেন যাকে ট্রান্স জেন্ডার উইমেন বলা হয়।

হিজড়া:

অর্থ: হিজড়া একটি সাংবিদানিক এবং সামাজিক শব্দ, যা আমকে কোনও একটি প্রধান লিঙ্গের প্রতি অক্ষরিত নয় কিন্তু সমলিঙ্গী প্রতি অক্ষরিত হয়। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, এই ভাষাগুলিতে এই শব্দটি ব্যবহার হয়। হিজড়ারা সাধারণভাবে জনপ্রিয়তা পায় না এবং তাদের সমাজের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। এই শব্দটির ব্যবহার সাধারণভাবে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কয়েকটি রচনায় প্রকাশিত হয়েছে।

হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার এর মধ্যে পার্থক্য

ট্রান্সজেন্ডার এবং “হিজড়া” দুটি শব্দের মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অর্থ ও ব্যবহার রয়েছে। হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ একধরণের সমলিঙ্গী ব্যক্তি , আর ট্রান্সজেন্ডার একজন ব্যক্তির স্থানান্তর প্রক্রিয়া অথবা একজন সমলিঙ্গী ব্যক্তির সংজাত পরিবর্তনের সংক্ষেপক পরিসংখ্যান হতে পারে। এই দুইটি পরিসংখ্যানের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে, এবং এটি প্রতিটি ব্যক্তি এবং তাদের সংস্কৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন হতে পারে। সংক্ষেপে বলা বলা যায় ট্রান্সজেন্ডার হল এসব মানুষ যারা জন্মগত ভাবে পুরুষ লিঙ্গ বা স্ত্রী লিঙ্গ হয়ে থাকেন কিন্তু তারা তাদের মনমানসিকতার কারনে পরবর্তিতে সার্জারি অথবা বিভিন্ন অপারশনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে স্ত্রী অথবা পুরুষ লিঙ্গ পরিণত হন। কারণ তাদের মানসিকতা তাদের জন্মগত লিঙ্গের বিপরীত হয়ে থাকে, যেমন স্ত্রী লিঙ্গের ক্ষেত্রে নিজেকে পুরুষ মনে হয় আর পুরুষ লিঙ্গের ক্ষেত্রে নিজেকে স্ত্রী মনে করা ( এটা একটি মানসিক সমস্যা )

হিজড়াদের পরিচিতি:

  • হিজড়ারা সাধারণভাবে যে সমলিঙ্গী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিরূপ হয়, তার সঙ্গে তাদের স্থানান্তর করা বা সামাজিক পরিচিতি থাকতে পারে।
  • হিজড়ারা সাধারণভাবে আপনাম ব্যবহার করতে পছন্দ করে এবং অপনাম হলেও সময়ের সাথে তাদের নাম পরিবর্তন করতে পারে।
  • হিজড়া সমাজে একটি বিশেষ স্থান রয়েছে এবং তাদের জীবনযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের কর্ম অথবা পেশা থাকতে পারে, সম্ভারিত অনুষ্ঠান হতে পারে।
  • হিজড়াদের মধ্যে কিছু হিজড়া জীবনের একটি স্থানান্তর প্রক্রিয়া অথবা হিজড়া হওয়ার পরিচিতি করতে পারে এবং তাদের একটি সামাজিক সম্প্রদায়ে থাকতে পারে।
  • হিজড়াদের মধ্যে কিছুজন হিজড়া হওয়ার পরিচিতি করে সামাজিক অবস্থান অর্জন করে এবং কিছুজন তাদের সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পছন্দ করে না।

সমাজিক অবস্থান এবং জীবনযাত্রা:

  • হিজড়াদের মধ্যে কিছু হিজড়া আত্মপ্রতি অভিমুখী এবং তাদের জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পছন্দ করে, কিছু হিজড়া তাদের জীবনযাত্রা অনুসরণ করে এবং সামাজিক সম্প্রদায়ে থাকতে পছন্দ করে।
  • হিজড়াদের জীবনযাত্রা বিভিন্ন ধরনের কর্ম অথবা পেশা অনুভব করতে পারে, যেমন গায়ন, নাচ, কিছু সৌন্দর্য সেবা

হিজড়াদের বৈশিষ্ট্য সামাজিক এবং বৈষম্যহীন ভূমিকার কারণে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে পরিচিত। হিজড়াদের সামাজিক অবস্থান এবং জীবনযাত্রা একে অপরের থেকে বিভিন্ন হতে পারে এবং তারা প্রতিটি সমাজের বৈশিষ্ট্য অনুভব করতে পারে।

কিছু হিজড়াদের বৈশিষ্ট্য এবং তাদের সমাজিক অবস্থানের সংক্ষেপ:

  1. সমলিঙ্গী ব্যক্তি: হিজড়ারা সমলিঙ্গী ব্যক্তি, অর্থাৎ তাদের শারীরিক লিঙ্গ এবং মানসিক লিঙ্গ প্রতিরূপ। এটি হিজড়াদের বৈশিষ্ট্যের একটি মৌল্যবোধ।
  2. সমাজিক সম্প্রদায়ে স্থান: হিজড়ারা সামাজিক সম্প্রদায়ে একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। তাদের জীবনযাত্রা, কাজ, আচরণ এবং উপাচার্যতা বৈষম্যহীন এবং উন্নত সমাজিক বিবেক অনুভব করতে সাহায্য করে।
  3. সংস্কৃতি ও উৎসাহী অনুষ্ঠান: হিজড়াদের মধ্যে কিছু সংস্কৃতি এবং উৎসাহী অনুষ্ঠান থাকতে পারে, যেমন গায়ন, নাচ, সৌন্দর্য সেবা, ইত্যাদি।
  4. সমাজে বিভিন্ন ভূমিকা: হিজড়াদের সমাজে বিভিন্ন ভূমিকা থাকতে পারে, যেমন বিশেষজ্ঞ, উদ্যানকর্মী, সমাজ সেবক, ইত্যাদি।
  5. সমাজে পুরুষ এবং মহিলা দৃষ্টিকোণ সংশোধন: হিজড়াদের সমাজে পুরুষ এবং মহিলা দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে এবং তাদের সমাজে বৈষম্য দূর করতে সাহায্য করতে পারে।

এই বৈশিষ্ট্যগুলি হিজড়াদের সমাজে একটি বিশেষ স্থান এবং অদ্ভুত জীবনযাত্রা দেয় এবং তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বিশেষ ভাবনা অনুভব করতে সাহায্য করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top